২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের আলোচিত ঘটনা হিসেবে উঠে এসেছে মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলম-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার গ্রেফতার।
অভিযোগ অনুযায়ী, মেঘনা আলম ও ব্যবসায়ী দেওয়ান সামিরসহ কয়েকজন একটি প্রভাবশালী বিদেশি কূটনীতিককে প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার (৫০ লাখ ডলার) অর্থ দাবি করেন। অভিযোগটি সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
মেঘনাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৯ এপ্রিল আটক করা হয়, যা তাকে সরাসরি অভিযোগ ছাড়াই ৩০ দিন পর্যন্ত আটক রাখার সুযোগ দেয়। তার এই আটকের ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ধরে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সংস্থা এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করে।
আদালতে মেঘনা আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার শুধু ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, এবং তিনি তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, তাকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং আইনি সহায়তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।
ঘটনাটি দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এরইমধ্যে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছে, যেখানে সরকারকে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন মেঘনার আটককে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।
বর্তমানে মেঘনা আলম পুলিশের হেফাজতে আছেন এবং মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।