সাকলাইন মুকুলের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ, অভিযোগকারীর দাবি — “আমি প্রতারিত”

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা |
Natural Research Laboratories-Unani নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাকলাইন মুকুল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোঃ হুমায়ুন কবির, একজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা, নিজে এই অর্থ পরিশোধ করেছেন।

মোঃ হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেন,
“সাকলাইন মুকুল নিজেকে ইউনানি প্রতিষ্ঠানের এমডি পরিচয় দিয়ে সরকারি স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র তৈরি করেন। তিনি নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টের কপি, এবং লেটারহেড ব্যবহার করে বিশ্বাস স্থাপন করে ধাপে ধাপে আমার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। অথচ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো কাজই তিনি সম্পন্ন করেননি।”

প্রতারণার প্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে:

একাধিক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র

অভিযুক্তের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট কপি

ছবি

বিকাশ এবং ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের স্ক্রিনশট ও রশিদ

প্রাথমিকভাবে ৳৪,৫০,০০০ টাকা বিকাশ ও ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়, এবং পরবর্তী সময়ের কিস্তিতে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৳৩৫,০০,০০০।

মোঃ হুমায়ুন কবির আরও জানান,
“আমি একজন প্রকৃত উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশে ইউনানি ব্যবসায় আগ্রহী ছিলাম। দুঃখজনকভাবে সাকলাইন মুকুলের মতো প্রতারকের কারণে আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”

এ বিষয়ে শীঘ্রই তিনি সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করবেন বলেও জানিয়েছেন।

📢 সতর্কবার্তা:
সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ী সমাজকে সাকলাইন মুকুল ও তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো লেনদেনের পূর্বে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। প্রতারণা প্রতিরোধে সকলে যেন সচেতন থাকেন—এটাই সময়ের দাবি।